এপিবিএন ঝুলিতে টুকরো অর্জন
"আমি যে দেখেছি গোপন হিংসা কপট রাত্রি ছায়ে
হেনেছে নিঃসহায়ে
আমি যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে
বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে"
রবীন্দ্রনাথের এই নীরব বেদনা যখন ব্যক্তি মনের ব্যাপ্তি ছাড়িয়ে বৈশ্বিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে.. তখন দুর্নীতি দমনের নিরন্তর চেষ্টায় কাজ করছেন দুদক। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মননে ছড়িয়ে দিচ্ছেন অপরাধ দমনের প্রবণতা, বদলাচ্ছেন নিজেরা,পৃথিবী বদলের প্রত্যয়ে।দলিত দলে জাগছে আশা,স্বপ্ন আর ভরসা। চেতনা পরিবর্তনের এই শুভক্ষণে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৪ বগুড়া সদরের ১৬ টি স্কুল অংশ নেয়।নয়, এগারো এবং তের তারিখ এই তিন দিনে ১ম,২য় এবং ৩য় রাউন্ড পেরিয়ে ফাইনালে বিজয়ী হয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়েছে আদিত্য আহসান। ইয়াকুবিয়া স্কুলের জৌলুসী মিলনায়তনে চূড়ান্ত রাউন্ডে মডারেটর হিসেবে ছিলেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যাপক, বিচারক হিসেবে ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিস এবং দুদকের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক বগুড়া।এই প্রাপ্তি ক্ষণে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অনিঃশ্বেষ কৃতজ্ঞতা বিদায়ী সভাপতি জনাব আব্দুর রাজ্জাক(এ্যাডিশনাল ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ) স্যারকে । যাঁর প্রচেষ্টায় বৃহৎ পরিসরে প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিবেট ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়েছে। যিনি নক্ষত্রসমান দূরে থেকেও ছায়াবৃক্ষের মত প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে যাচ্ছেন। যাকে ভোলা যায় না।
হার্দিক কৃতজ্ঞতা নবাগত সভাপতি জনাব মোঃ শহীদ আবু সরোয়ার(এ্যাডিশনাল ডিআইজি)৪ এপিবিএন বগুড়া। যিনি আকাশসম উষ্ণ হৃদয়াবেগে একাত্ম হয়েছেন,প্রাণিত করেছেন,অভিবাদন জানিয়েছেন। নির্ভরতার হাত বাড়িয়ে পরম আশ্বাস দিয়েছেন।আরও কৃতজ্ঞতা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মাহবুবা হক(ম্যাম) সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব জাফর ইকবাল (স্যার) কলেজ ইনচার্জ জনাব মাহফুজুর রহমান জুয়েল (স্যার)। সার্বক্ষণিক পাশে থেকে আপন অভিভাবকের মত সহযোগিতা, অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁদের এমন শিক্ষার্থীবান্ধব অনুরাগ স্মরণকালের মত উল্লেখ্য।বিশেষ কৃতজ্ঞতা সিনিয়র পুলিশ সুপার জনাব নাহিদ হাসান স্যারকে, তাঁর সরব উপস্থিতি প্রায়ই তার্কিকদের তর্কযুদ্ধকে গতিময় এবং অনুপ্রাণিত করেছেন।ধন্যবাদ ডিবেট ক্লাবের সদস্য সচিব মেহেদী হাসানসহ সকল সদস্য, প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক,কর্মচারী-যাঁদের একটু একটু যত্ন ভালোবাসায়, নিরলস অবদানেই প্রতিনিয়ত এপিবিএন ইতিহাসে জমা হয় টুকরো টুকরো সুখের অর্জন এবং যাঁরা নেপথ্যের মন্ত্রদাতা।ইয়াকুবিয়াতে তার্কিকদের সাথে সময় দিয়ে ধন্য করেছেন সহকারী শিক্ষক জনাব আশিকুর রহমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী আবিদ হাসান।সময় দিয়ে আরও ঋণী করেছেন সহকারী শিক্ষক সৌপর্ণ মাছুম এবং শামিমা নাসরিন।যারা এই অর্জনের গল্প যারিন তাসনিম তুলি,ফাতেমা তুজ জোহরা, সাদিয়া জায়মা, আদিত্য আহসান। কৃতজ্ঞতা তাদের অভিভাবকের প্রতিও, দাতাকর্ণ ভেবে পরম বিশ্বাসে সন্তানকে সমর্পণের জন্য।প্রত্যেকটা রাউন্ড শেষে ফলাফলের আগেই সমস্বরে বলতে শোনা 'ম্যাম আমরা জিতে গেছি না? ঘড়ির কাঁটার নিয়ম আবর্তে অনিশ্চিত উত্তেজনায় উত্তর প্রতিপক্ষও অনেক ভালো বলেছে।' মাইক্রোফোনের ভরাট পুরুষ কণ্ঠের ঘোষণার সাথে সাথে আমাদের হারিয়ে দিয়ে ওরা জিতে যায় প্রবল আত্মবিশ্বাসে। এভাবে বারবার শিক্ষকদের হারিয়ে তোমরা ইতিহাস হও।
শুভকামনা।