মহরমের চাঁদ উঠিল মন কাঁদে রে বেদনায়
"হায় হোসেন, হায় হোসেন" মাতম করে যে মা ফাতেমায় ।।
কোথায় রইলেন শেরে খোদা আবু তোরাব আলি-
দাও না এনে জুলফিকার কয় ফাতেমা দুলালি
হায়দরি হাঁক শুনে ত্রাসে কাঁপন জাগে কুট-ধরায় ।।
কারবালাতে পানি যে নাই পানি আছে ফোরাতে
একে একে সবাই শহিদ পানি বিনে সংঘাতে
দুলদুলও শত তিরে বিদ্ধ রাঙা কারবালায় ।।
ওরে সীমার কি করিলি ছুরি দিলি কার গলে
হায় হোসেন হায় বিলাপ করে পবনতরু ধরাতলে
শোকে পাথর হলো বুঝি দয়াল নবি মদিনায় ।।
Sauparna Masum
সৌপর্ণ মাছুম একজন কবি ও গীতিকার। জন্ম ০৯ আগস্ট ১৯৮৬ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। বাবা মতিউর রহমান ও মা জাহানারা বেগম-এর চার সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বাবার সেনাবাহিনীতে চাকরির সুবাদে বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে তার পড়াশােনায় হাতে খড়ি। ২০০২ সালে তিনি বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট বাের্ড হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ২০০৪ সালে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া থেকে তিনি সমাপ্ত করেন রসায়নে অনার্সসহ স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেছেন প্রথম শ্রেণিতে বিএড ও এমএড ডিগ্রি । এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন বগুড়া ল কলেজ থেকে । আর চিকিৎসাশাস্ত্রে বাংলাদেশ হােমিওপ্যাথিক প্যারা মেডিকেল বাের্ড খুলনা’-এর অধীনে হােমিওপ্যাথিতে নিয়েছেন এলএইচএমপি ডিগ্রি । আর ডিএইচএমএস সম্পন্ন করেছেন বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ থেকে।
ছাত্রজীবন থেকেই কবিতা ও গান লেখা শুরু । ২০১৮ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আদিগন্ত শস্যজলে নিরন্তর বাঁশি’ । এরপর থেকেই সাহিত্য জগতে শুরু হয় তাঁর নিরন্তর পথচলা ।
পেশায় তিনি একজন শিক্ষক ও চিকিৎসক। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বর্তমানে তিনি উত্তরবঙ্গের স্বনামধন্য শিক্ষালয় বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল ও কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। গৃহলক্ষ্মী জাকিয়া সুলতানা ও একমাত্র কন্যা মৃত্তিকা তাসনিম-কে নিয়ে তার গৃহীজীবন।
প্রকাশিত গ্রন্থ :
কাব্যগ্রন্থ :
(১) আদিগন্ত শস্যজলে নিরন্তর বাঁশি : ২০১৮, পৃষ্ঠা প্রকাশন
(২) জোছনাপত্রে ভেজানো শ্লোক : ২০২০, চর্যা প্রকাশ
(৩) কলসে বালির কাঁথা : ২০২২, চর্যা প্রকাশ
(৪) হেরার দ্যুতি : ২০২৫, চর্যা প্রকাশ
সংগীত :
(০৫) সপ্তসুরে নন্দনহার : ২০১৯, ইশা প্রকাশন
শিশুতোষ :
(৬) সময় ৩৫ কিশোর ছড়া-কবিতা সংকলন : ২০২৫, সময় প্রকাশন